কাজী ফরিদ: দৈনিক প্রথম আলো’য় একটি সংবাদচিত্র নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় চলছে। প্রকাশিত সংবাদচিত্রে দ্রব্যমূল্য ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সাজানো বলে জানিয়েছে ঐ প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির শিশু ও তার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। বৈশাখী টেলিভিশনকে তারা জানায়, পত্রিকার সাংবাদিক তাকে ১০ টাকা দিয়ে ফুল হাতে যেভাবে দাঁড়াতে বলেছে সেভাবে শিশুটি দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছে। পরে তা দিয়ে কি করেছে তা শিশুটি জানেনা।
গেলো ২৬শে মার্চ জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো স্বাধীনতা দিবস নিয়ে করা একটি সংবাদচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই সংবাদে ফুল নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের গেটে দাঁড়ানো একটি শিশুর ছবি দিয়ে বলা হয় সে, দিনমজুর জাকির হোসেন। তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে লেখা হয়- পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম? বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই শিশুটির নাম জাকির হোসেন নয়। তার নাম সবুজ আহম্মেদ। বাবা-মায়ের সাথে থাকে সাভারের আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায়। হাজী মতিয়ার রহমান স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র, প্রথম আলো প্রতিবেদনে দিনমজুর বলা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার নাম সবুজ আহম্মেদ বলে নিশ্চিত করেছেন। স্কুলের হাজিরা খাতায় তার নাম সবুজ। সবুজ জানালেন ১০ টাকা দিয়ে তার ছবি তোলে প্রথম আলোর প্রতিবেদক। কিভাবে দাঁড়াতে হবে সেটাও বলে দেন তিনি।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর আয় উপার্জনের পথও বন্ধ হবার উপক্রম বলে জানিয়েছেন সবুজ আহম্মেদের মা। সরকারের অর্জনকে ম্লান করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। অনেকে চুয়াত্তরে বাসন্তির জাল পরা সেই ছবির সাথেও এর তুলনা করছেন।
প্রথম আলো অনলাইনে এই অসংগতিপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হলে সেই প্রতিবেদনের শিরোনাম পাল্টে দেয় তারা। ছবিও সরিয়ে নেয়।
KFA/sharif