নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে টেকসই ও মসৃণভাবে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ।
বুধবার (২৯শে মার্চ) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কূটনৈতিক সম্পর্কের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এ প্রতিশ্রুতি দেয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধাকে যথাযথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনমান পরিবর্তন করেছে সে বিষয়টি তুলে ধরেন তারা।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তার নিজস্ব জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন পরিকল্পনা প্রণয়ন করার কথাও জানান। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে চলমান অস্থিরতা, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে অস্থিরতার কারণে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের পর আরও ছয় বছরের জন্য ইন্টারন্যাশনাল সাপোর্ট মেজারস (আইএসএম) অব্যাহত রাখার আলোচনায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় দৃঢ় সমর্থন প্রদানের জন্য বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে অনুরোধ করেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আলোচনাধীন নতুন জিএসপিতে বাংলাদেশের বাণিজ্য স্বার্থ, বিশেষ করে পোশাক খাতের সুরক্ষা প্রদানের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। কোম্পানী এবং ব্র্যান্ডগুলোর পক্ষ থেকে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রাসঙ্গিক কোম্পানীগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে একটি কর্ম কৌশল তৈরির অনুরোধও করা হয়।
বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনন্য মানবিক ভূমিকার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের প্রশংসা করে।
সরকারি ও বেসরকারি খাতের সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ব্রাসেলসে তিন দিনের সফরে রয়েছেন।
MHS/shimul