নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজানের এক সপ্তাহ পার হলেও বাজারে দ্রব্যমূল্য এখনও চড়া। রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় কিছু পণ্যের দাম কমলেও কমেনি চড়াভাব। উল্টো রোজার সময়ে প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। অন্যদিকে এখনো অস্থিরতার মধ্য দিয়েই যাচ্ছে মুরগীর বাজার।
অনেক দিন ধরেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। মাঝে মধ্যে কিছু পণ্যের দাম অল্প কমলেও পরবর্তীতে বাড়ে তার চেয়ে আরও বেশি।
রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখে গেছে গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে বেশ কয়েক পদের সবজির দাম। তবে সেই নতুন দামও কোনভাবেই ৫০টাকার নিচে নয়। দাম কমার পরও বরবটি কেজিপ্রতি ৯০, করলা ৮০, আর লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
রোজার অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ছোলা ও খেসারির ডাল ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০টাকা কেজিতে। চিনি, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম না বাড়লেও বিক্রি হচ্ছে চড়া মূল্যে।
স্বস্তি নেই মাছের বাজারেও। টেংরা, কাঁচকি এমনকি সহজলোভ্য পাবদা মাছের দামও চিন্তার ভাজ ফেলেছে ক্রেতাদের কপালে। আর রূপালি ইলিশ তো নাগালেরই বাইরে।
এদিকে, উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। গেল সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২৭০ টাকা বিক্রি করা ব্রয়লার মুরগীর দাম দুই দিন আগে ২১০ টাকায় নেমে এলেও শুক্রবার আরেক দফা দাম বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজিতে। গরু আর খাসির মাংসও বিক্রি হচ্ছে আগের চড়াদামে।
অন্যদিকে, ফলমূলের দাম সবচেয়ে বেশি। সপ্তাহের ব্যবধানে না বাড়লেও আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আপেল, কমলা, মাল্টা, কলাসহ সব ধরণের ফলমূল। নিত্যপণ্যের এমন দামে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানান।
TH/shimul