শেরপুর সংবাদদাতা: দখল ও দূষণের সাথে নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে শেরপুরের বেশিরভাগ নদী। এরইমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে অনেক নদী ও খাল। ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে চলছে চাষাবাদ। নির্মাণ করা হয়েছে ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা। তবে নদীগুলো রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
নদীর মাঝে ধান ক্ষেত দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নদী। অথচ একটা সময় শেরপুরের নকলার সুতি নদীতে ছিল অথৈ পানি, তীব্র স্রোত। সেই নদী স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে বানিয়েছে পুকুর। নদীর বুকে করা হচ্ছে ধানচাষ, নির্মাণ করা হয়েছে নানা স্থাপনা।
প্রায় দু’বছর আগে জেলা প্রশাসন অভিযান চালালেও দখলমুক্ত হয়নি সেতু নদীর জমি। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় নদী অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। শুধু সুতি নদীই নয়, শেরপুরের বেশিরভাগ নদী খননের অভাবে নাব্যতা হারিয়ে এখন অনেকের দখলে।
নদী রক্ষায় একাধিকবার মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিলেও কোন সুফল মেলেনি বলে অভিযোগ সুশিল সমাজের। তবে নদীগুলো খননের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহজাহান।
দখলমুক্ত করে নদী রক্ষায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন, এমনটাই দাবি জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের। শেরপুরে ১৬টি প্রধান নদী ও ৯টি ছোট নদী রয়েছে। তবে বর্তমানে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মালিঝি, সোমেশ্বরী, মহারশি, মৃগী, চেল্লাখালি ও ভোগাই নামে কয়েকটি নদী টিকে আছে।
Priyonty/sharif