বিউটি সমাদ্দার: ঝরা পাতার দিন ফুরিয়ে তপ্ত প্রকৃতিকে স্নিগ্ধতার ছোঁয়ায় সাজিয়ে তুলেছে নতুন পাতা। গাছে গাছে জেগেছে নতুন প্রাণ। নবপল্লবে ছেয়ে গেছে পুরো বৃক্ষরাজি। বসন্তের মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে লালচে হলুদ আর সবুজ কচিপাতারা। এ যেন প্রকৃতির অনন্য এক রুপ। তরুতলে এখন যেন নিসর্গের চরাচর। এই সময়টাতে পথ চলতে নবপল্লবের নাচন মানবমনেও স্বস্তি এনে দেয়।
চৈত্রের ফাগুন হাওয়ায় লেগেছে কালবৈশাখীর নাচন। বদলে যাচ্ছে দিন, বদলাচ্ছে প্রকৃতির মেজাজ। শুষ্ক আর রুক্ষতার পালা বদলে মোহনীয় সাজে সেজে উঠেছে বৃক্ষরাজি। নবপত্রের ছন্দে সুর তুলে যেন তারা বলছে, দেখো নতুন রুপে সেজেছি মোরা।
এই তো ক'দিন আগেও জীর্ণতায় বেজেছিলো পাতা ঝরার গান। শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি থেমে গাছে গাছে এখন নবমঞ্জরীর মৃদুমন্দ ছন্দ। গাছের কান্ড ফুঁড়ে মাথা তুলেছে সবুজ কিশোলয়। প্রকৃতিকে দিয়েছে নতুন বারতা।
বৃক্ষরাজির এই নবসাজে যেন প্রাণ পেয়েছে র্জীণ প্রকৃতি। লালচে কচিপাতার সৌন্দর্যে গেয়ে উঠেছে পাখির দল, পাঁপড়ি মেলেছে বাহারী ফুলেরা। প্রকৃতির এই মোহনীয় রূপ দোলা দিয়ে যায় মানবমনেও।
ইট-পাথরের এই যান্ত্রিক নগরীতে তাই যেখানেই সবুজের আনাগোনা রয়েছে সেখানেই দুদন্ড যেন থেমে যাচ্ছে ক্লান্ত মন।
বৃক্ষরাজি তার আপন নিয়মেই প্রতিবছর পুরোনো পাতা ঝরিয়ে নিজেকে নতুন পাতায় সাজিয়ে নেয়। তবে প্রকৃতির এই রুপের বদলেই প্রাণ পায় জীববৈচিত্র্য বলছেন পরিবেশ বিশেজ্ঞরা। প্রকৃতির এই পূর্ণতার সাজ থাকবে আগামী এক বছর।
BRS/sharif