নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র গরমে সারাদেশেই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপ প্রবাহ। আর বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে, যা অব্যাহত থাকবে আরো তিন-চারদিন। তবে শিগগিরই বৃষ্টির দেখা মিলবে না। তীব্র গরমের কারণে দেখা দিয়েছে জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৈশাখ শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকেই গরম বেশ বেড়েছে। দেশের বেশিরভাগ এলাকায় চলছে তীব্র তাপদাহ। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে। ঢাকাসহ অনেক এলাকায় যে হালকা বাতাস বইছে, তাতে অস্বস্তি যেন আরও বাড়ছে। চারপাশে যেন আগুনের হলকা।
শরীরে অনুভূত হচ্ছে তীব্র জ্বালাপোড়া। পথ চলতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ সুযোগ পেলে একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন। তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাওয়ায় পথে ডাবের পানি কিংবা শরবত খেয়ে প্রশান্তি খুঁজছে অনেকে।
বাতাসে আর্দ্রতা অস্বাভাবিক কম থাকায় ঠোঁট ও চামড়া ফেটে যাচ্ছে। গরমের কারণে দেখা দিয়েছে নানা রোগের প্রকোপ। হাসপাতালগুলোতে বেড়ে চলেছে রোগীর চাপ। তাদের অনেকেই জ্বর, সর্দি-কাশি আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমের তীব্রতা না কমা পর্যন্ত শিশুদের প্রতি বিশেষভাবে যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে এবং ফলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহজুড়ে এই তাপদাহের দাপট থাকতে পারে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙায়, ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মাসের শেষ সপ্তাহে গিয়ে মেঘের দেখা মিলতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে বৃষ্টি। কিন্তু তার আগে এক সপ্তাহ গরমের কষ্ট সহ্য করতে হবে। শহর এলাকায় জলাভূমি কমে যাওয়া এবং গাছপালা কম থাকায় গরমের অনুভূত হচ্ছে প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি।
FM/sharif