নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) মুন্সিগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজা থেকে সকাল ৬টা থেকে ছয় শর্তে এই মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়েছে। ফের চলাচল শুরু হওয়ার দিনে দু'টি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। যদিও এর আগে একটি বুথ থেকে মোটরসাইকেলের টোল আদায়ের কথা জানানো হয়েছিল।
সেতু বিভাগের যুগ্ম সচিব ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী জানান, প্রতি মিনিটে দু'টি বুথ থেকে ২৫ থেকে ৩০টি মোটরসাইকেল সেতুতে উঠছে।
সেতু পারাপারের মাওয়া টোল প্লাজা থেকে অভিমুখের সড়কজুড়ে রয়েছে হাজারো মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি। গভীর রাত থেকে সেতুতে পারাপারের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে টোলপ্লাজার অভিমুখের সড়কে অবস্থান নেয় মোটরসাইকেল আরোহীরা।
তবে সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত মোটর সাইকেলের কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ কমে যায়। এতে স্বাচ্ছন্দে ঈদে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতু পারাপার হচ্ছে। এদিকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের গতি হবে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। নিয়ম ভাঙলে জরিমানা করা হবে এবং প্রয়োজনে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হবে এ সুবিধা। দীর্ঘদিন পর সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে তারা।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টোলপ্লাজায় পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গতবছর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয় পদ্মা সেতু সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু সেতু উন্মুক্ত হওয়ার পরে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী এক্সিডেন্ট করে মৃত্যুবরণ করায় ও বাইকারদের উচ্ছৃঙ্খলতার জন্য সেতু কর্তৃপক্ষ পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর দুর্ভোগের শেষ ছিল না বাইকারদের। কখনো ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার যোগে, কখনো সেতু কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে মালবাহী ট্রাকে পদ্মা নদী পাড় হতেন বাইকাররা। সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হওয়ার পরে বাইকাররা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের দাবিতে বিভিন্ন সময় পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজা, শরীয়তপুর ও ঢাকায় মানববন্ধন করেছে। তবুও সরকার তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। এবার ঈদ উপলক্ষ্যে শর্ত সাপেক্ষে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
MNU/sharif