তানজিলা নিঝুম : ব্যাংক ঋণের সুদহারের সীমা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী জুলাই মাস থেকে সুদহার নয়-ছয়য়ের সীমা আর থাকবে না। এতে বিনিয়োগ কমবে বলে মনে করেন ক্ষুদ্র ও বড় ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, সুদের চাপে অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেবেন। ব্যাংকগুলো যাতে ইচ্ছে মত সুদ না নিতে পারে সেদিকে ব্যাংলাদেশ ব্যাংককে নজর রাখার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। আর অর্র্থনীতিবিদরা বলেছেন, ঋণের সুদহারের সীমা তুলে দেয়া সময়ের দাবী। এতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে আসবে।
দেশে বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ বেঁধে দেয়া আছে। আইএমএফের শর্ত পূরণে ঋণের সুদহারের এই সীমা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে আমানতের সুদের হারও বাড়বে। বর্তমানে গড়ে আমানতের সুদের হার ৪ থেকে ৬ শতাংশ। ইতিমধ্যে ব্যাংক খাতে আমানত বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, নভেম্বর মাসে ব্যাংক আমানত ছিল প্রায় ১৪ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা। ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। জানুয়ারিতে কিছুটা কমেছে। আর ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।
তবে কমবে ঋণ বিতরণের হার। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
ঋণের সুদের হার বাড়লে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এতে বেসরকারি খাত হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এতে মূল্যস্ফীতি কিছুট কমবে। আর আমানত বাড়বে। তারল্য সংকটও কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।
ঋণের সুদের হারের সীমা তুলে দেয়ার বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ হবে আগামী মুদ্রানীতিতে। কার্যকর হবে পহেলা জুলাই থেকে।
Nijhum/joy