তানজিলা নিঝুম: দেশে মার্কিন ডলার আসার প্রধান দুই উৎস-রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়-দুটোই এপ্রিল মাসে কমেছে। মাস শেষে বৈদেশিক আয় আসে প্রায় ১৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।আর রপ্তানি হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য। মার্চ মাসের তুলনায় দুই খাতেই আয় কম হয়েছে। রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার পাশাপাশি গত মাসে ঈদসহ দীর্ঘ ছুটির কারণে রপ্তানি আয় কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বৈদেশিক মুদ্রার আয়ে চলতি বছরের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ফেব্র“য়ারিতে কিছুটা কমে যায়। তবে মার্চ মাসে প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় ছিল বেশ ভালো। কিন্তু এপ্রিলে এসে দুটোতেই ভাটা।এ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম আয় হয়েছে এই দুই খাতে। পাশাপাশি গত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও কমেছে।
মার্চে রপ্তানিআয় হয়েছিল প্রায় ৪৬৪ কোটি মার্কিন ডলার। আর এপ্রিলে রপ্তানি হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের এপ্রিলে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের পণ্য। সে হিসেবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ১৬ দশমিক পাঁচ-দুই শতাংশ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মন্দার কারণে বিশ্বজুড়ে কমেছে পণ্যের চাহিদা। ফলে ক্রেতাদের কাছ থেকেরপ্তানি আদেশও কমেছে। তাদের আশঙ্কা সামনের দিনে আরও কমতে পারে রপ্তানি আয়।
এদিকে এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয়েও নেই সুখবর।চলতি অর্থবছরের প্রথম ও দ্বিতীয় মাসে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে দেশে বৈদেশিক আয় এসেছিল। এরপর টানা ছয় মাসেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি। সবশেষে গেলো মার্চেপ্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলারঅতিক্রম করে।কিন্তু এপ্রিল মাসে ফের কমে বৈদেশিক আয় এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
তবে প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রমেজবাউল হক।
সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন হলে কয়েক মাসের মধ্যে সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রপ্তানি আয়ের চিত্র
মাস রপ্তানি আয় (মার্কিন ডলার)
জানুয়ারি ৫১৩ কোটি
ফেব্র“য়ারি ৪৬৩ কোটি
মার্চ ৪৬৪ কোটি
এপ্রিল ৩৯৬ কোটি
সূত্র: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
প্রবাসী আয়ের চিত্র
মাস প্রবাসী আয়(মার্কিন ডলার)
জানুয়ারি ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ
ফেব্র“য়ারি ১৫৬ কোটি ১২ লাখ
মার্চ ২০১ কোটি ৭৭ লাখ
এপ্রিল ১৬৮ কোটি ৩৫ লাখ
সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংক
Nijhum/shimul