নাটোর সংবাদদাতা: নাটোরে মালচিং পেপার পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ পদ্ধতি বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। আর পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
নাটোরে বেড়েছে মালচিং পেপার পদ্ধতিতে সবজি চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন এ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছেন। এ পদ্ধতিতে প্রথমে দুই পাশ থেকে কেটে জমির মাঝখানে একটু উঁচু করে মাটির সঙ্গে সার মেশানো হয়। এরপরে তা মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এতে মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখা যায়। পরে মালচিং পেপারের দুই পাশে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল গোল করে কেটে নেয়া হয়। কেটে নেয়া জায়গায় রোপণ করা হয় বীজ বা চারা।
এ পদ্ধতিতে আগাছা হয় না। দফায় দফায় সার দেয়ার ঝামেলাও নেই। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ও গাছের গোড়া পঁচাসহ অন্যান্য রোগ কম হয়। একবার সেচ দিলে অনেকদিন মাটির আর্দ্রতা বজায় থাকে। এতে ফসল ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আর ক্রেতারা পাচ্ছেন টাটকা ও বিষমুক্ত সবজি।
পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মালচিং পেপার পদ্ধতিতে চাষাবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন নাটোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষিকে লাভজনক করতে মালচিং পদ্ধতি হবে অনন্য উদাহরণ এমনটাই মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
Laiza/Bodiar