তানজিলা নিঝুম : মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলা, বকেয়া ও ভর্তুকির দায় মেটাতে বাড়তি ব্যয় মাথায় রেখে তৈরি হচ্ছে আগামী অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। যার আকার হতে পারে প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে পাঁচ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে মেটানো হবে। বাকি ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি পূরণে দেশীয় ও বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ ও অনুদান নেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও সামাজিক সুরক্ষার দিকে সরকারকে বেশি মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
করোনার অতিমারির পর রাশিয়া উইক্রেন যুদ্ধের কারণে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিশ^ অর্র্থনীতি। এর প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতির উপরেও। অর্থনীতিকে সচল রাখতে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মানুষের স্বস্তির কথা মাথায় রেখেই ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য জাতীয় বাজেট করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে- প্রস্তাবিত বাজেট হতে পারে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকার। চলতি অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট দেয়া হয়। সে হিসাবে চলতি বছরের তুলনায় আগামী বাজেটের আকার বাড়বে প্রায় ৮১ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা।
আসছে বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রস্তাব করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর ভর্তুকি কমিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
নতুন অর্থবছরের বাজেট নির্বাচনী বছরের বাজেটও বটে। তাই বাজেটে রাজনৈতিক প্রভাব যাতে না পড়ে সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
আগামী অর্থবছরে এনবিআর, এনবিআরবহির্ভূত এবং করবহির্ভূত রাজস্ব থেকে মোট ৫ লাখ কোটি টাকা আয় করতে চায় সরকার। চলতি অর্থবছরে যা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছর
বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা
রাজস্ব আয় (প্রস্তাবিত) ৫ লাখ কোটি টাকা
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫%
Nijhum/shimul