পাহাড়ে নতুন আতঙ্ক কেএনএ

প্রকাশিত: ১৯-০৫-২০২৩ ১৪:১১

আপডেট: ১৯-০৫-২০২৩ ১৫:০৫

ফরহাদ উজ্জামান: পাহাড়ে নতুন আতঙ্কের নাম কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি-কেএনএ। বান্দরবানে খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজে জড়াচ্ছে তারা। সম্প্রতি তাদের হামলায় দুজন সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড়ে শান্তি রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে কেএনএ’র বিরুদ্ধে। সেই চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে সশস্ত্র সংগঠনটির কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।সংস্থাটি জানিয়েছে, কেএনএ’র নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে। 

পাহাড়ে সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর সামরিক শাখা কেএনএ। খুন, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও জঙ্গিদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে বারবার আলোচনায় আসছে সশস্ত্র সংগঠনটি। বান্দরবানের বম নৃগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তি এই সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিভিন্ন সময় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারও হয়েছে এই সংগঠনের সদস্যরা।

সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার গহীণ অরণ্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাড়িয়েছে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি-কেএনএ। গত ১৬ই মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যদের ওপর রুমা উপজেলার জারুলছড়ি পাড়ায় হামলা চালায় সন্ত্রাসী এই সংগঠনটি। এতে দুইজন অফিসার ও  দুই জন সৈনিক আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই সৈনিকের মৃত্যু হয়। 

স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড়কে অস্থিতিশীলতার হাত থেকে রক্ষা করতে চাইলে কেএনএ’র বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে আলোচনার সুযোগ নেই বলেও মনে করেন তারা। 

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপরতা বাড়ানোর কথা জানালেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। 

এপর্যন্ত কেএনএ’র ১৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সংস্থাটিরআইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালকখন্দকার আল মঈন জানান, নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ ও রসদ জোগাচ্ছে কেএনএফের সামরিক শাখা কেএনএ।এছাড়া পাবর্ত্য জেলার শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যারা সহায়তা করে তাদের অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটি। 

তিনি বলেন, পার্বত্যবাসীর নিরাপত্তায় ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সচল রাখতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। 

Forhad/sat