বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদ, ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা

প্রকাশিত: ২০-০৫-২০২৩ ১৪:২১

আপডেট: ২০-০৫-২০২৩ ১৯:০০

মুক্তা মাহমুদ: অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিশ্বায়নের কারণে পরিবারের ভাঙ্গন স্বাভাবিক বিষয়ই বটে! তবে বিবাহ বিচ্ছেদের মত চূড়ান্ত পথে যেন হাঁটতে না হয়, সেজন্য স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং সমঝোতার মানসিকতা তৈরি জরুরি বলে মনে করে সমাজবিদরা।

মাজেদা খাতুনের বয়স পঞ্চান্ন ছুঁই ছুঁই্। ৩০ বছরের সংসারের ইতি টেনেছেন তিনি। তবে তার ইচ্ছেয় নয়। তিনি জানতেন-ই না স্বামী তাকে ছেড়ে গেছেন। সপ্তাহ পেরুলেও স্বামী যখন বাসায় ফেরেন না তখনই হঠাৎ পেলেন স্বামীর পাঠানো বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি।

আর সহকর্মীর প্রেমে পরে তাকে বিয়ে করেও সংসার করা হয়নি জয়িতার। বিয়ের পরপরই স্বামী ছেড়ে গেছেন। এখন একমাত্র ছেলের ভরণ-পোষণ আদায়ের লড়াই করে চলছেন।  

একই রকম বিচ্ছেদের কাহিনী পুরুষের দিক থেকেও। বিষয়গুলোতে যেন পরস্পরকে দোষারোপ অবধারিত। তবে শেষমেষ কেউ চায় না সারাজীবন অস্বস্তি আর ভালবাসাহীন সংসার ধর্ম পালন করতে। তাই বিচ্ছেদের পথই বেছে নিয়েছেন বা নেন তারা।

বিবাহবিচ্ছেদ কখনো কখনো অনিবার্য হতেই পারে। তবে বিচ্ছেদ যেন অন্যের জীবনকে বিশেষ করে সন্তানদের ক্ষতিগ্রস্ত না করে সেদিকে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই খেয়াল রাখার পরামর্শ সমাজবিদদের।

দাম্পত্য সম্পর্ক ‘টিকিয়ে রাখা’র জন্য স্বামী-স্ত্রীর ‘ফ্যামিলি কাউন্সেলিং’রও দরকার আছে। তবে নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস, স্বচ্ছতা ও সহনশীলতার ওপর গুরুত্ব দেন সমাজ বিশ্লেষকরা। 

Mukta/sat