খুলনা সংবাদদাতা: আর্থিক সংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানী খাত চিংড়ি চাষ। দেশের মোট উৎপাদিত চিংড়ির বেশীরভাগই হয় দক্ষিণাঞ্চলে। এসব অঞ্চলে মাঠ পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী চিংড়ি চাষে যুক্ত থাকলেও খামারিদের অভিযোগ আর্থিক সঙ্কটে সময়মত খামারে চিংড়ির পোনা ছাড়তে পারেন না তারা। চিংড়ি উৎপাদন এগিয়ে নিতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ দেয়ার দাবি চাষীদের।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য চিংড়ি। দেশের মোট চিংড়ির বেশীরভাগই উৎপাদিত হয় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায়। এই তিন জেলার মধ্যে খুলনায় বাগদা চিংড়ির খামার রয়েছে ২০ হাজার ৪৩০টি। যার আয়তন ৩২ হাজার ৯৯৮ হেক্টর। গত অর্থবছরে জেলায় চিংড়ি উৎপাদিত হয়েছে ১১ হাজার ২২৪ দশমিক ৩৫ মেট্রিক টন।
বর্তমানে বাগদা চাষের মৌসুম শুরু হলেও খুলনার অধিকাংশ চাষী খামারে বাগদার পোনা ছাড়তে পারেননি। তাদের অভিযোগ, অর্থিক অনটনে বাগদা চিংড়ির পোনা কেনা ও শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছেনা।
বাগদা চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে বলে জানান, সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের খুলনাঞ্চলের কর্মকর্তা সরোজ কুমার মিস্ত্রী।
এদিকে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, চিংড়ি রপ্তানি করে প্রতিবছর খুলনাঞ্চল থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। চিংড়ি উৎপাদনে মাঠ পর্যায়ের চাষীদের সব রকম সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
চিংড়ি উৎপাদনে খুলনা অঞ্চল উপযোগী এবং সম্ভাবনাময় বলেও জানান তিনি।
lamia/Bodiar