গোলাম মোর্শেদ: আগামী পহেলা জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। আসছে বাজেটের আকার হবে প্রায় ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। গেলো ক’বছর ধরে চলা ধারাবাহিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটেও আসছে বাজেটে সাড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর শর্ত পূরণ, ভর্তুকি কমানো, ঋণের সুদ পরিশোধকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন অর্থনৈতিক খাত সংশ্লিষ্টরা।
করোনা মহামারির রেশ কাটতে না কাটতেই বছরজুড়ে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থনৈতিক মন্দার কবল থেকে বের হতে পারেনি পুরো বিশ্ব। সেই নেতিবাচক প্রভাব এখনও চলছে দেশে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়ে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। এবার বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। যেখানে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭.৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ঘরে রাখার টার্গেট।
অর্থনৈতিক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী অর্থবছরেও চাপে থাকা অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হবে। এজন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ হবে সরকারের জন্য। এছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর শর্ত পূরণ, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, দেশি-বিদেশি উৎস থেকে সরকারের নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধও নতুন অর্থবছরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
অর্থনীতিবিদরা বলেন, সরকার বরাবরই বড় আকারের বাজেট দেয়। কিন্তু বাস্তবায়নের সঠিক রূপরেখা থাকে না। নির্বাচনের বছর হওয়ায় বাজেট বাস্তবায়নকে গুরুত্বের সাথে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ তার।
সরকার চাইলেও নতুন অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ খুব বেশি কমাতে পারবে না। বরং বিভিন্ন খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়বে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন কৌশল, কার্যকরিতা এবং যৌক্তিকতার সঠিক সমন্বয়ের তাগিদ দেন অর্থনীতিবিদেরা।
GM/shimul