বরিশাল সিটিতে বিএনপির অনেক নেতা প্রার্থী

প্রকাশিত: ২৬-০৫-২০২৩ ০৮:৪৫

আপডেট: ২৬-০৫-২০২৩ ১১:৫৯

বরিশাল সংবাদদাতা: বরিশাল সিটি নির্বাচনে লড়ছে বিএনপির ডজন খানিকের বেশি নেতা। যাদের মধ্যে মহানগর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও রয়েছে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় হাইকমান্ড সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিএনপির শীর্ষ নেতারা। 

বিএনপি আগেই ঘোষণা দিয়ছে বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না তারা। তবে আগামী ১২ই জুনের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে বিএনপির অন্তত ১৯জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা সৈয়দ হাবিবুর রহমান, ৫ নম্বরে ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ মাইনুল হক, ৬নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য সেলিম হাওলাদার, ৯নম্বর ওয়ার্ডে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ ও মহানগর যুব দলের সহ-সভাপতি হুমায়ুর কবির লিংকু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউল হক মাসুম, কাজী মোহাম্মদ শাহিন , জাবের আব্দুল্লাহ সাদি, মনিরুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির এক নম্বর সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম আজিম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফরিদ আহমেদ, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ূন কবির  নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে জাহানারা বেগম, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মজিদা বোরহান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিনা বেগম ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির রাশিদা পারভীন কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মানোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাইফুল ইসলাম আজিম, সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুন ও মাঈনুল হক প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা আশা করেন, দল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন বলে জানান তারা।

বরিশাল মহনগর বিএনপির নেতারা জানান, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেসব নেতা মননোয়নপত্র জমা দিয়েছে শেষ পর্যন্ত যদি তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির বেশীর ভাগ নেতা কর্মীই নিজ নিজ এলাকায় জনপ্রিয়।

Kaniz/sat