রাজধানীর বাজারে আদা কম, দাম আকাশছোঁয়া

প্রকাশিত: ২৬-০৫-২০২৩ ১৪:৩৭

আপডেট: ২৬-০৫-২০২৩ ১৫:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: থামছেই না দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি। একটা পণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আরেকটির দাম। বাজারে দেশি আদা নেই। বিদেশি আদার সরবরাহও কম, তাই দামও বেশি। পেঁয়াজ, জিরা, আলুসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যও বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে। সবজি কিংবা মাছ-মাংসের দামও বাড়ছেই। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। 

পর্যাপ্ত পণ্য থাকলেও দাম কমার কোন লক্ষণই নেই বাজারে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এমন সারি সারি সাজানো আদা দেখলে মনেই হবেনা পণ্যটির কোন সংকট আছে। তবুও লাফিয়ে বাড়ছে মসলাটির দাম। মিয়ানমারের আদা কেজিপ্রতি ৩০০, ইন্দোনেশিয়ার ও ভিয়েতনামের আদা ৩২০ ও ভারতের আদা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, চীন থেকে আদা আমদানি না হওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। 

এমন দামে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার দাবি জানিয়েছেন। 

স্বস্তি নেই পেয়াজের বাজারেও। বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। তবে এদিন কারওয়ান বাজারে মসলার দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মূল্য তালিকা না টাঙানো, অযৌক্তিক দামে পণ্য বিক্রি রোধে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি। 

ঊর্দ্ধমুখি সবজি বাজারও। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি। 

অস্বস্তি আছে মাছ বাজারেও। পাবদা, কাচকি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। রুই-কাতলা সাড়ে তিনশো। আর রূপালি ইলিশ তো ধরাছোঁয়ারও বাইরে। এক হাজার ৬০০ থেকে শুরু করে বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে। 

গরুর মাংস ৭৫০ ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজিতে। মুরগীর বাড়তি দামও এখন সাধারণ ক্রেতাদের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

TH/sat