লাবণী গুহ : বর্ষা শুরুর আগেই দেশে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগি। গত পাঁচ মাসে মারা গেছেন ১৩ জন। অথচ, গতবছর এই সময়ে একটিও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সরকারী হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগির চিকিৎসায় বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে, মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশনসহ নাগরিকদের সচেতন হতে বললেন তারা।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র সিয়াম। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মহাখালীর কোভিডহাসপাতালে ১০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন। সিয়ামের মা জানান, হঠাৎই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। সাথে সাথেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে, অবস্থা খারাপ হওয়ায় সরকারি এই হাসপাতালে পাঠানো হয় সিয়ামকে। রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালেই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগি। ভুক্তভোগিরা বলছেন, সবখানেই মশার উপদ্রপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যে দেখা যায়. গত বছর মে মাস পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো শুন্য। অথচ এ বছর এরইমধ্যে ১৩ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। ২০২২ সালে মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহ পর্যন্ত রোগির সংখ্যা ছিলো ১০০ জন। এ বছর সেখানে ২৬ শে মে পর্যন্ত রোগি সনাক্ত হয়েছে ৬৩৮ জন।
বর্ষা শুরুর আগেই মশার এমন বিস্তার আর ডেঙ্গু রোগি বাড়ার কারণ হিসেবে জলবায়ুর পরিবর্তন, বৃষ্টির জমে থাকা পানি মশক নিধন তৎপরতার অভাব আছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক।
তিনি জানান, ডেঙ্গুর চিকিৎসায় হাসপাতালগুলো প্রস্তত আছে। তবে, মশা নিধনে সকলকে সচেতন হতে হবে।
LGR/Bodiar