বাজেটে তরুণদের নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ

প্রকাশিত: ২৯-০৫-২০২৩ ১৫:১১

আপডেট: ২৯-০৫-২০২৩ ১৫:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৬২ শতাংশ কর্মক্ষম। আর জনসংখ্যার ২৮ ভাগ তরুণ। কর্মক্ষম ও তরুণ এই জনগোষ্ঠী দেশের জন্য অপার সম্ভাবনা হিসেবে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। এই জনশক্তিকে দক্ষ করে কর্মে নিয়োজিত করতে আসছে বাজেটে বিশেষ পরিকল্পনা নেয়ার পরামর্শ দেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি ধন বৈষম্য কমিয়ে সমাজে সমতা সৃষ্টিরও তাগিদ দেন তারা। সরকারের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে প্রযুক্তিগত ও জীবনমুখী শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানো হবে। 

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে দেশে উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানার প্রসার কমেছে। কর্মের ক্ষেত্র কমে যওয়ায় বেড়েছে বেকারত্বের হার। নতুন অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ধনী দরিদ্রের বৈষম্য কমানোর তাগিদ দিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশ্লষকরা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, দেশের বর্তমান মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ কোটিই তরুণ। আর কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী সাড়ে ১০ কোটি বা ৬২ শতাংশ। যাদের বয়স ১৫ বছর থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। এই জনগোষ্ঠীকে দেশের জন্য সম্পদ ও বিশাল সম্ভবনা হিসেবে দেখেন অর্থনীতি বিশ্লেষক জামাল উদ্দিন আহমেদা।

দেশে এখন দারিদ্রের হার ১৮ দশমিক ৭ ভাগ। অতিদারিদ্রের হারও কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। তবে সম্পদ আহরণের পার্থক্যর কারণে সমাজে উচ্চবিত্ত এবং মধ্য ও নিু-মধ্য বিত্তের ব্যবধান বহুগুন বেড়েছে। যা অর্থনীতির জন্য বিরাট চাপ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এই বৈষম্য সমাজকে ভারসাম্যহীন করে তুলেছে। 

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, সমাজের ধনী-গরীবের বৈষম্য কমাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা থাকবে নতুন বাজেটে।

নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বাজেটে বিশেষ পরিকল্পনা থাকবে বলেও জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী।

 

 

MRP/Bodiar