নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণের টাকায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নির্বাচন কমিশন হবে আসছে ২০২৩-২৪ নতুন অর্থবছরের সবচে আলোচিত প্রতিষ্ঠান। কারণ, সেই মেয়াদে তাদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা। ফলে বিগত চারটি অর্থবছরের চেয়ে আসছে নতুন অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের ব্যয়ের জন্য টাকা বরাদ্দ অনেক বেশি প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বেশি। আর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বছরের চেয়েও ৫১১ কোটি টাকা বেশি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসছে জানুয়ারির মধ্যে হবার কথা। সময়টি পড়বে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে। এই মেয়াদের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে নির্বাচন কমিশনের খরচের জন্য দুই হাজার ৪০৬ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এই টাকার কতোটা শুধু জাতীয় নির্বাচনে খরচের জন্য তা পৃথক করে উল্লেখ নেই। তবে এর মধ্যেই যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের খরচ আছে তা বৈশাখী টিভিকে নিশ্চিত করেছেন ইসির ক’জন কর্মকর্তা। তাই বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বেশি দেবার প্রস্তাব আছে নতুন বাজেটে।
জাতীয় নির্বাচন থাকুক কিংবা না থাকুক, প্রতি বছর কিছু না কিছু স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচন কমিশন। নিয়মিত সেসব কাজের খরচের পরও আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এই কমিশনের বাজেটে বিপুল বরাদ্দের পেছনে যেসব খাতে অনেক ব্যয় বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে সেগুলো হলোÑ বিদায়ী বাজেটের চেয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রশাসনিক ব্যয় ৩৮১ কোটি টাকা, প্রশিক্ষণ ব্যয় ৮০ কোটি টাকা এবং মুদ্রণ ও মনিহারি ব্যয় প্রায় অর্ধশতকোটি টাকা বেশি দেয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে পেশাগত সেবা, সম্মানি ও বিশেষ ব্যয়ে, এসব খাতের জন্য প্রায় ৬০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা গেলো অর্থবছরের চেয়ে ৫শ কোটি টাকা বেশি।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশন ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন, লেমিনেটেড ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ছাপানো ও বিতরণ, শূণ্য থেকে ১৮ বছর বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান, প্রবাসীদের নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, তথ্যের সুরক্ষায় ডিজাস্টার রিকোভারি সিস্টেম স্থাপন এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনা উন্নয়নেও ব্যয় করবে।
সাড়ে চার বছর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনকে ১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা দেবার প্রস্তাব ছিলো। এবারের জাতীয় নির্বাচনী বছরে তার চেয়ে ৫১১ কোটি টাকা বেশি দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের জন্য।
KFA/sat