বরগুনায় সিডার যন্ত্র বিক্রিতে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০২-০৬-২০২৩ ০৯:৪৯

আপডেট: ০২-০৬-২০২৩ ১৪:৩৭

বরগুনা সংবাদদাতা: বরগুনায় কৃষকদের পাওয়ার টিলার চালিত সিডার যন্ত্র কিনতে বাজারমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কৃষকরা বলছেন, প্রতিটি যন্ত্র কিনতে বাজার মূল্যের তুলনায় ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়। এছাড়া, তালিকায় যাদের নাম আছে তারা অনেকেই সিডার যন্ত্র নেয়নি। আবার অনেকে পেয়েছেন তিন-চারটি করে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক। 

শ্রমিক সংকট এড়াতে ও সময়মতো ফসল রোপণ করতে কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পাওয়ার টিলার চালিত সিডার যন্ত্র। কৃষকদের সুবিধার্থে প্রতিটি সিডার যন্ত্র কেনায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। ভর্তুকির টাকা বাদ দিয়ে বাজারমূল্যের অবশিষ্ট টাকা কৃষি অফিসে জমা দিয়ে যন্ত্র কিনতে পারবেন কৃষকরা। কিন্তু উপকূলীয় জেলা বরগুনায় সিডার যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।

কৃষকরা বলছেন, পাওয়ার টিলার চালিত সিডার যন্ত্রের বাজারমূল্য দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ৭০ শতাংশ। ফলে ৮৫ হাজার টাকা জমা দিয়েই সিডার যন্ত্র পাওয়ার কথা। কিন্তু এই যন্ত্র কেনায় কৃষকদের জমা দিতে হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার থেকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

বরগুনার উপজেলা কৃষি অফিসগুলোতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তারা তথ্য দিতে রাজি হয়নি। পরবর্তীতে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করার পর তথ্য পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায় দুই অর্থ বছরে জেলায় সিডার যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে ১হাজার ১৬৪টি। তবে, তালিকায় যাদের নাম আছে, তাদের অনেকে সিডার যন্ত্র নেয়নি। অনেকে আবার তিন-চারটিও পেয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম। 

অভিযোগ ওঠায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অভিযোগের প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আাশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান। 

জেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭১২টি সিডার যন্ত্র বরাদ্দ হয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬০৯টি যন্ত্র । 

Kaniz/sat