ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ন্যাটো

প্রকাশিত: ০২-০৬-২০২৩ ১৬:২৭

আপডেট: ০২-০৬-২০২৩ ১৬:২৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।

বৃহস্পতিবার মলদোভায় ইউরোপিয়ান পলিটিক্যাল কমিটির সভায় ইউক্রেনকে ন্যাটো ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) অন্তর্ভূক্তির জন্য দাবি জানান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পরে নরওয়ের অসলোতে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভূক্ত করা প্রস্তাব উঠলে এর পক্ষে ও বিপক্ষে দুদলে বিভক্ত হয়ে পড়েন বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর নেতারা।

সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক উপস্থিত ছিলেন।

২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত জোটের নেতাদের এমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এ মুহূর্তে দেশটিকে জোটে অন্তর্ভূক্ত করলে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো মোড়ল দেশগুলো।

এ বিষয়ে লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস বলেন, ‘১৪ বছর ধরে ন্যাটোর উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছে কিয়েভ। ইউক্রেনকে আসলেই ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া যাবে কি না এবং তা করা গেলে ঠিক কিভাবে ও কত সময়ের মধ্যে দেয়া যায়- এ বিষয়ে আমাদের একটি ফলপ্রসু আলোচনা করার সময় এসেছে।’

এ সময় জার্মানি ও লুক্সেমবার্গ ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিতে তাড়াহুড়া করা হয়ে যাচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক বলেন, ‘ন্যাটোর উন্মুক্ত দ্বার নীতি সবসময়ই রয়েছে। কিন্তু যুদ্ধরত কোনো দেশকে এখন জোটে অন্তর্ভূক্ত করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না।’ আর হাঙ্গেরি স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে ইউক্রেনের অন্তর্ভূক্তি (ন্যাটোতে) নিয়ে আসন্ন সম্মেলনে কোনো আলোচনা হবে না।

এদিকে, মলদোভার সভায় জেলেনস্কি বলেন, ‘শুধু ইউক্রেন নয়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী সব দেশগুলোকেই এ দুই জোটে (ন্যাটো ও ইইউ) অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।’

কারণ হিসেবে, যে সব দেশ কোনো নিরাপত্তা জোটের সঙ্গে নেই, রাশিয়া তাদের গিলে খেতে চায় বলে মন্তব্য করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

এ সময় ক্ষমতাধর দেশগুলোর কাছ থেকে আরও সমর্থন ও সহযোগিতা চান তিনি।

 

rocky/shimul