কক্সবাজারে হস্তশিল্পে স্বাবলম্বী দুই শতাধিক নারী

প্রকাশিত: ০৩-০৬-২০২৩ ০৮:৫৬

আপডেট: ০৩-০৬-২০২৩ ১৪:৪৯

কক্সবাজার সংবাদদাতা: বাঁশ-বেতের পণ্য, টুপি ও নকশী কাঁথা তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার দুই গ্রামে দুই শতাধিক নারী। একসময় এই গ্রামগুলোর নারী-পুরুষ বনের উপরই নির্ভরশীল ছিল। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে আরও বড় পরিসরে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। 

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর মেধাকচ্ছপিয়ার নলবনিয়া ও ডুলাহাজারা গ্রামের মানুষের জীবন ও জীবিকা একসময় ছিল বননির্ভর। তবে গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টে গেছে। ঘরের কাজ শেষে মেয়ে-বউরা কেউ কাঁথা সেলাই করতে বসেন আবার কেউ বানান টুপি।

বাহারি নকশা আর সুক্ষ্ম কারুকাজের পণ্য তৈরি করছেন তারা।  এ সব কাজে শুধু বাড়ির মেয়েরাই নয়, বাঁশ-বেতের পণ্য, টুপি, নকশী কাঁথা তৈরিতে জড়িত গ্রামের বুড়ো থেকে শুরু করে কিশোরী সবাই জড়িত। 

বনবিভাগ ও ইউএসএইডের সহায়তা নিয়ে নারীরা সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছে। তবে গ্রামের অনেক পুরুষ সদস্য এখনো বন পাহারার কাজ করছে। 

গ্রামীণ নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবন মান উন্নয়নের কথা জানালেন বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা। আর বিকল্প জীবিকায়নের নানা উদ্যোগের কথা বললেন বন কর্মকর্তারাও। 

এসব গ্রামীণ নারী-পুরুষরা যাতে উপযুক্ত পারিশ্রমিক ও স্বীকৃতি পায় তা দেখার আশ্বাস দিলেন তারা। 

FR/sat