নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান জাতীয় সংসদের চট্টগ্রাম ১০ আসনের সদস্য ডাক্তার আফছারুল আমীনের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার প্রথম জানাজা হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয় তার কফিনে। এ সময় দলের নেতারা বলেন, আফছারুল আমীনের মতো ত্যাগী নেতার এখন খুব প্রয়োজন। পরে মরদেহ হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামে নেয়া হয়। সেখানে বাদ আছর তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ এশা তৃতীয় জানাজা শেষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ কাটতলী পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম-১০ ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর আসন থেকে টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ডাক্তার আফছারুল আমীন কফিনবন্দি হয়ে শেষবার এলেন ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ’র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
সেখানে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম নামাজে জানাজা। মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিভিন্ন স্তরের কর্মী ও সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
পরে মরহুমের কফিনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁদের সামরিক সচিব শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো হয় স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর পক্ষ থেকেও।
শ্রদ্ধা জানায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ চীফ হুইপ ও হুইপরা। এরপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বরেণ্য রাজনীতিক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডাক্তার আফছারুল আমিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় জাতীয় ও দলীয় পতাকা দিয়ে মরহুমের দেহ ঢেকে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা প্রয়াত আফছারুল আমীনের স্মৃতিচারণ করেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তার মৃত্যুতে দলের বড় ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রয়াত আফছারুল আমিনের মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামে নেয়া হয়। সেখানে বাদ আছর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৭৫ বছর বয়সে শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আফছারুল আমীন।
SMS/shimul