চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে খামারিদের জন্য বরাদ্দ অর্থ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, টাকা বিলি হয়েছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিসের কর্মচারী থেকে শুরু করে অখামারিদের মাঝেও। কিছু খামারি টাকা পেলেও সেখান থেকে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে ভাগ দিতে হয়েছে।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
করোনা মহামারীতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ডেইরি ও খামার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ১২৭৩ জন খামারির জন্য প্রণোদনা হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয় ১ কোটি ৪১ লাখ টাকারও বেশি।
তবে খামারিদের অভিযোগ, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজস্ব লোকদের এসব অর্থ দিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার লোকদের খামারি দেখিয়ে তাদের দেয়া হয়েছে।
এছাড়া গ্রেডভিত্তিক খামারিদের নিবন্ধনে ঘুষ নেয়াসহ নানা অভিযোগ আছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন, খামারিরা।
তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. কাউসার আলী ।
এদিকে, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানালেন, উপজেলা অফিসের দেয়া তালিকা অনুযায়ী টাকা দেয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে যাচাই করা হয়নি।
সরকারের এমন সহায়তা যাতে প্রকৃত খামারিরা পায় সেজন্য কঠোর নজরদারির পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।
Mustafiz/Bodiar