আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবর্জনা জমেছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট। শুধু এভারেস্ট না, আবর্জনার স্তুপ এখন সমগ্র হিমালয় রেঞ্জ জুড়েই। নেপালের সাগরমাতা পলিউশন কন্ট্রোল কমিটির বরাত দিয়ে অস্ট্রেলিয়া’র এবিসি নিউজ জানিয়েছে, আট হাজার মিটারের এ পর্বতের প্রায় সবগুলোতেই জমেছে আবর্জনা। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ১৩ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। আবর্জনা অপসারণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পরও হচ্ছে না অবস্থার পরিবর্তন।
১৯৫৩ সালে প্রথমবার মানুষের পায়ের ছাপ পড়েছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ পবর্তশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে। সত্তর বছরেই পর্বতারোহীদের ফেলা আসা বর্জ্যে রীতিমতো আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে তুষার রাজ্য এভারেস্ট। আট হাজার মিটারের এই পবর্তের প্রায় পুরোটাই আবর্জনায় ঢেকে গেছে। গত কয়েক দশক ধরে বাণিজ্যিক আরোহণের ফলে মানববর্জ্যরে সাথে হাজার হাজার পর্বতারোহীর ফেলে যাওয়া জুতা, তাঁবু, অক্সিজেন সিলিন্ডারে এভারেস্ট হয়ে উঠেছে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভাগাড়।
নেপালের সাগরমাতা পলিউশন কন্ট্রোল কমিটির তথ্য অনুযায়ী, মাউন্ট এভারেস্ট অঞ্চলে প্রতিবছর দুশো টন বর্জ্য তৈরি হয়। এরমধ্যে মাত্র ১১টন বর্জ্য অপসারণ করার সক্ষমতা রয়েছে সংস্থাটির। বর্জ্য পরিস্কারে গত কয়েক বছর ধরে এভারেস্টে মৌসুমি অভিযান চালাচ্ছে নেপাল সরকার। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ১৩ টন বর্জ্য অপসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ। অবস্থা বেগতিক দেখে ব্যক্তি উদ্যোগে আবর্জনা পরিস্কারে নেমেছেন শেরপারা।
এভারেস্ট ট্রেকিংয়ে পর্বতারোহীরা যে বর্জ্য ফেলেন তা ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের কাছে আরোহণের আগে ৪ হাজার ডলার জমা রাখার নিয়ম রয়েছে। আবর্জনা নিয়ে আসলে, তবেই ফেরত দেয়া হয় অর্থ। তবে এতোসব বিধিনিষেধেও অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। ফলে এভারেস্টের পরিবেশ ভয়াবহ দূষণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে গলছে এভারেস্টের হিমবাহ। ফলে বাড়ছে তুষারধসে নিহতের সংখ্যা।
shamima/Bodiar