নিজস্ব প্রতিবেদক : নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের এগারোতম মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা আয়োজনে স্মরণ করা হচ্ছে খ্যাতিমান এই লেখককে। ২০১২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মানেন জনপ্রিয় এ কথাশিল্পী।
মৃত্যুবার্ষিকীতে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বজন, শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তেরা। অনুষ্ঠিত হয় দোয়া মাহফিল। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় লেখকের নিজ গ্রামে কুতুবপুরে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোক শোভাযাত্রা করে।
বাংলাদেশের প্রবল জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। উপন্যাসে তার প্রতিভার বিস্তার ঘটলেও শুরুটা ছিল কবিতা দিয়ে। এরপর নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শুরু করে শিল্প-সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর।
১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উপন্যাস ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে হয়ে ওঠে অনুকরণীয়।
নন্দিত এই কথাসাহিত্যিকের এগারোতম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার সকালে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ হুমায়ূন সহ শুভানুধ্যায়ী, অনুরাগী ও ভক্তরা। লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় এসময় দোয়া করা হয়।
হুমায়ূনের সৃষ্টি করা প্রিয় চরিত্র হিমু ও রূপা অনুকরণে হলুদ পাঞ্জাবি আর নীল শাড়িতে সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা।
কবর জিয়ারত শেষে মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ূন আহমেদের অসমাপ্ত স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান।
এদিকে, মৃত্যুবার্ষিকীতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার রোয়াইল বাড়ি ইউনিয়নে হুমায়ূন আহমেদের নিজ গ্রাম কুতুবপুরে তাঁর প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোক শোভাযাত্রা বের করে। বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে শোভাযাত্রাটি গ্রামের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে যিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন ভক্ত ও অনুরাগীদের হৃদয়ে।
Nishat/Bodiar