মাবুদ আজমী: ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করাতে পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা প্রত্যাশীদের। আবেদনকারীদের ফাইল না পাওয়া, সার্ভার জটিলতাসহ নানা কারণে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় সেবা প্রত্যাশীদের। লাইসেন্স কার্ড বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের দিকেই অভিযোগের তীর। রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে লাইসেন্স এর জন্য বায়োমেট্রিক করাতে অনিয়ম দুর্নীতি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা সজিব। ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য বায়োমেট্রিক করাতে দীর্ঘ তিন বছরে সাত থেকে আটবার ঘুরে গেছেন মিরপুর ১২ নম্বরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স কার্যালয় থেকে। বায়োমেট্রিক করানোর কাজ তাদের দিয়েছে বিআরটিএ। সময়মতো লাইসেন্স না পাওয়ায় তিন বছরে তিনবার চাকরিও হারিয়েছেন সজিব।
সজিবের মতো অনেক মানুষ দিনের পর দিন ঘুরছেন মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স এর কার্যালয়ে। কখনো আবেদনকারীর ফাইল না পাওয়া, কখনো সার্ভার জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে ফেরত দেয়া হয় সেবা প্রত্যাশীদের। তবে টাকা দিলেই ফাইল খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি কাজও দ্রুত হয় বলে অভিযোগ তাদের।
লাইসেন্স নবায়নের জন্য বছরের পর বছর ধরে ঘুরতে হয়। সেই সাথে আছে পদে পদে আরও নানা হয়রানি।
দরপত্রের চুক্তি অনুসারে ভারতীয় কোম্পানি মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স ৫ বছরের মধ্যে ৪০ লাখ ড্রাইভিং স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করার কথা। কিন্তু বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের আগস্ট থেকে গেলো তিন বছরে ৬ লাখ স্মার্টকার্ড দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
Azmi/sat