আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রাজিলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মূলত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মুষলধারে বৃষ্টি এবং প্রবল বাতাসের কারণে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে বিপর্যয়কর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (৬ই সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির ওই এলাকায় আরও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দেশটির রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের গভর্নর বলেছেন, এটিই তার প্রদেশের সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়া বিপর্যয়ের ঘটনা।
বিবিসি বলছে, হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাঁচ হাজার বাসিন্দার শহর মুকুমে শত শত লোককে তাদের বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই শহরের ৮৫ শতাংশই প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা বলেছেন, ফেডারেল সরকার সাহায্য করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘কোথাও কোনও সমস্যা হলে মানুষকে বাঁচাতে ফেডারেল সরকার সেখানে কাজ করবে।’
রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবার মুকুম শহরে আরও ১৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আর এতেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ জনে।
বিবিসি বলছে, প্রদেশটিতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৩০০ মিমি-এর বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং এর জেরে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। মুকুম শহরের মেয়র মাতেউস ট্রোজান রেডিও গাউচাকে বলেছেন, ‘এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
AR/sat