হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে গর্তে ভরা রাস্তা

প্রকাশিত: ০৬-০৯-২০২৩ ১৪:১৬

আপডেট: ০৬-০৯-২০২৩ ১৬:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বড় বড় গর্ত হয়েছে। ভাঙ্গাচোরা এই সড়ক যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে ঢাকার এই প্রবেশ পথে। এছাড়া দোকানপাট করে এবং যত্রতত্র গাড়ী রাখায় যানজট লেগেইে থাকে। যাত্রীদের অভিযোগ, ফ্লাইওভার চালুর পর থেকেই রাস্তাটির এমন দুরাবস্থা অবস্থা।

দুলতে দুলতে চলে যাত্রীবাহী বাস। বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দে রাস্তায় আটকে যাচ্ছে রিকশা, ভ্যান, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মালবাহী কাভার্ডভ্যান। এ চিত্র রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের সড়কের। 

এ যেন আলোর নিচে অন্ধকার! উপরে ঝকঝকে, তকতকে। আর নিচের রাস্তা গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার গেট কুতুবখালী পর্যন্ত সড়ক যেন মরণফাঁদ। সড়কের কার্পেটিং, পিচ, পাথর, সুরকি উঠে গেছে। 

যাত্রাবাড়ী মোড়ের দৃশ্য আরো খারাপ। থানার সামনেই রাস্তার ওপর দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা হয়েছে আটক যানবাহন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই রাস্তার ফ্লাইওভারের নীচের অংশ যেন বাজার, আড়ত ও যানবাহনের স্ট্যান্ড।

যতটুকু ব্যবহারের উপযোগী রয়েছে তার বেশিরভাগ অংশই গত দশ বছর ধরে বড় বড় গর্ত ও খানা-খন্দে ভরা। স্থানীয়রা বলছেন, ফ্লাইওভার চালুর পর থেকে রাস্তার সংস্কার কাজ করেনি সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল থেকে ঢাকায় প্রবেশমুখে সংস্কার কাজের জন্য কয়েক মাস ধরে পুরো সড়কই বন্ধ রয়েছে। যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ ডেমরাসহ ঢাকায় বসবাস করা লাখ লাখ মানুষকে ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখে নেমে হেটে যেতে হচ্ছে। 

২০১৩ সালে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার খুলে দেয়ার পর থেকেই সড়কের নিচের অংশ অবহেলায় পড়ে আছে। পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যানবাহন যাতে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যেতে বাধ্য হয় সেভাবেই নিচের রাস্তা তৈরি করেছে।  

ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-মাওয়া পদ্মা সেতুসহ ৪০ জেলার যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে এই পথে।

FM/sat