বর্ষা গেলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ যায়নি

প্রকাশিত: ১৭-০৯-২০২৩ ১৪:২৩

আপডেট: ১৭-০৯-২০২৩ ১৫:৩৩

লাবণী গুহ : বর্ষা মৌসুম শেষ হলেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু কমছে না। এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৮’শ ছাড়িয়েছে। চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনেই মারা গেছে দুই শতাধিক। হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীর বাইরে কোথাও কোথাও শরীরে পুশ করার স্যালাইন সংকট দেখা গেছে। রাজধানীর বাইরে যে হারে রোগি বাড়ছে তাতে আগামী ৪০ বছরে গ্রামের মানুষের জন্য ডেঙ্গু বড় স্বাস্থ্য সমস্যার কারণও হবে বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। 

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২১১ জন। আগষ্ট মাসে মোট মৃত্যু হয় ৩৪২ জনের। আর জুলাই মাসে মারা গেছে ২০৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। মৃত্যুর হার শুন্য দশমিক ৫ শতাংশ। আর আক্রান্তের হার ৬ শতাংশ। তবে, অনেক রোগি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৯৩ ভাগই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে, থেকে যায় বেশ কিছু জটিলতা। এবং দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার আক্রান্ত হলে ঝুঁকি আরো বাড়ে।

রাজধানীর কোন কোন হাসপাতালে এবং রাজধানীর বাইরে দেখা দিচ্ছে স্যালাইন সংকট। কোথাও কোথাও বেশি দামে কিনছেন রোগির স্বজনেরা।

অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় ডেঙ্গুর এই চিত্র ভয়াবহ। চিকিৎসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর চেষ্টা করলেও মশা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ঘাটতি রয়েছে বলে মত দেন জনস্বাস্থ্যবিদ বে-নজির আহমেদ।

আগে ডেঙ্গু রাজধানীকেন্দ্রিক থাকলেও বর্তমানে পুরো দেশে ছড়িয়ে গেছে। ফলে, আগামী ৩০  থেকে ৪০ বছর গ্রামের মানুষদের জন্য ডেঙ্গু বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হবে বলেও জানান তিনি। চিকিৎসার পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জোর দেয়ার পরামর্শ তাঁর।

 

LGR/shimul