কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজারে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষা সহজ করে দিয়েছে ‘শিখন স্কুল’। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত ৩ শতাধিক স্কুলের মাধ্যমে লেখা পড়ার সুযোগ পাচ্ছে ১২ হাজারের বেশি শিশু। ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।
দেশে করোনা অতিমারীর সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিশুর শিক্ষা জীবনে ছন্দপতন ঘটেছে। কক্সবাজারে দারিদ্রতা, মানবসৃষ্ট বিপর্যয় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়া শিশুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েছে।
এসব শিশুদের শিক্ষার মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে জেলায় ৩ শতাধিক 'শিখন স্কুল' চালু করেছে সরকার। এসব স্কুলে শিশুদের বিনামূল্যে বই, খাতা, কলম ও ব্যাগ দেয়ার পাশাপাশি উপবৃত্তির টাকাও দেয়া হচ্ছে।
শিখন স্কুলে সকাল ও বিকালে দুই শিফটে পড়ালেখার সুযোগ থাকায় শিক্ষার্থীরা একবেলা পড়ালেখা করে অন্যবেলা কাজ করতে পারছে। আয় ও পড়ালেখা এক সাথে চলায় খুশি অভিভাবকরাও।
ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানালেন সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান জেসমিন প্রমা।
লেখাপড়ার পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হতে শিশুদের কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হবে বলে জানালেন, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক এ কে এম বজলুর রশিদ তালুকদার।
জেলায় ২০ হাজার ঝরে পড়া শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে ১২ হাজার ৩০০ জন শিখন স্কুলে পড়ালেখা করছে।
Kaniz/Bodiar