সাভার সংবাদদাতা: ঢাকার ধামরাইয়ের রোয়াইল ইউনিয়নের কৃষ্ণনগরে ১৬ বছর পরও পুরোপুরি চালু হয়নি ২০ শয্যার হাসপাতালটি। এখানে রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু না হলেও বহির্বিভাগ চালু করা হয়েছিলো। তবে সেখানেও মিলছে না কাঙ্খিত সেবা। কয়েকজন চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দেয়া হলেও তারা নিয়মিত আসেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানালেন, প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে চালু করা যাচ্ছে না হাসপাতালটির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম।
আধুনিক মানের ২০ শয্যা বিশিষ্ট কৃষ্ণনগরের এই হাসপাতালটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু ১৬ বছর পরও পুরোপুরি চালু হয়নি হাসপাতালটি। ফলে কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় রোগীরা। হাসপাতালটিতে বহির্বিভাগ চালু রাখা হলেও সেখানে মিলছেনা পর্যাপ্ত সেবা। রোগীদের ভরসা তাই ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং মানিকগঞ্জ ও সাভারের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলো।
কৃষ্ণনগরে ১৬ বিঘা জমি উপর নির্মিত হয় ২০ শয্যার হাসপাতালটির ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা। পানির পাম্প স্থাপন করা হয়, দেয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি বরাদ্দ না হওয়ায় সেবা কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। অবহেলায় পড়ে রয়েছে হাসপাতালটি। নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র ও মালামাল। হচ্ছে চুরিও।
হাসপাতালটিতে চারজন জুনিয়র কনসালটেন্ট, একজন মেডিকেল অফিসার, একজন আরএমও, দুইজন নার্স ও একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকার কথা থাকলেও সব নিয়োগ দেয়া হয়নি। যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারাও নিয়মিত আসেন না।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নূর রিফাত আরা জানান, বরাদ্দ পেলেই হাসপাতালটি পুরোপুরি চালু করা যেত। সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে আপাতত হাসপাতালটির বর্হিবিভাগ চালু রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের প্রত্যাশা, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে চালু করা হবে হাসপাতালটি। কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্য সেবা পাবেন তারা।
FR/Bodiar