নিজস্ব প্রতিবেদক: হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ায় কয়েকগুণ বেড়েছে শিরায় পুশ করা স্যালাইনের চাহিদা। দেশে নিয়মিত স্যালাইন প্রস্তুত করে যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান, তারা তিন শিফটে উৎপাদন করেও চাহিদা মেটাতে পারছে না। ফলে ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করছে সরকার। যার কয়েকটি চালান ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে এসেছে। শুধুমাত্র ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য স্যালাইন আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বছরের শুরু থেকেই দেশে একটু একটু করে বাড়ছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। জুলাই, আগষ্ট আর সেপ্টেম্বর মাসে হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়তে থাকে। অন্য যেকোন বছরের চেয়ে বেড়েছে মৃত্যু। ফলে, সরকারি, বেসরকারী হাসপাতালসহ যেসব রোগি বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদেরও প্রয়োজন পড়ছে স্যালাইনের।
রক্তের তারল্য এবং রক্তচাপ ঠিক রাখতে ডেঙ্গু ও ডায়রিয়ার রোগিকে স্যালাইন দিতে হয়। এছাড়া, ডায়ালাইসিস, অপারেশনসহ বিভিন্ন চিকিৎসায় স্যালাইনের প্রয়োজন হয়। দেশের ৬টি কোম্পানি প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৫০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করে। বর্তমানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তিন শিফটে কাজ করে আড়াই থেকে তিন কোটি ব্যাগ উৎপাদন করছে তারা। তবুুও চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে দেয়া স্যালাইন রেশনিং করা হচ্ছে। আর বেসরকারী হাসপাতাল এবং ওষুধের দোকানে বাধ্য হয়েই উচ্চমূল্যে স্যালাইন কিনছেন রোগিরা। এই সংকট মেটাতে সরকার ভারতের হিমাচল প্রদেশের আইভিপেক্সপ্যারেন্টেরাল কোম্পানি থেকে ২০ লক্ষ ব্যাগ স্যালাইন আমদানীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান এসেনশিয়াল ড্রাগসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন।
প্রতিব্যাগ স্যালাইনের দাম পড়েব ১৩৫ টাকা। শুধুমাত্র আপদকালীন সময়ের জন্যই আমদানি করা হচ্ছে এবং তা সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা হবে।
LGR/sat