নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ দুপুরে

প্রকাশিত: ২৪-০৯-২০২৩ ০৯:০৫

আপডেট: ২৪-০৯-২০২৩ ১৪:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশটি হওয়ার কথা রয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

তার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহে মাত্র চার দিনের ব্যবধানে তাকে কেবিন থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) এনে চিকিৎসা দিতে হয়। ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া কিডনি, ফুসফুস, হৃদরোগ ও লিভার জটিলতায় ভুগছেন।

এর আগেও গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন।

গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা। এই সমস্যার চিকিৎসার জন্য একাধিকবার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে অ্যাডভ্যান্স সেন্টারে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন।

পরিবারের পক্ষ থেকেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক এমন পরিস্থিতিতে ঠিক কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।

২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সেবার অনেকদিন হাসপাতালে থেকে পরে বাসায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এরপর মাঝেমধ্যেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে তার।

 

FR/shimul