কক্সবাজার উপকূলে স্থায়ী ঠাঁই পেয়েছে ৬শ’ পরিবার

প্রকাশিত: ২৪-০৯-২০২৩ ১৫:১৩

আপডেট: ২৪-০৯-২০২৩ ২২:২০

জে ইউ জুবায়ের: কক্সবাজার জেলার  উপকুলীয় অঞ্চলের জলবায়ু উদ্বাস্তু ও ভুমিহীনরা জলোচ্ছাস, ঝড় ও অনিশ্চয়তার কালো মেঘ কাটিয়ে ফিরেছে স্বস্তির জীবনে। জেলার খুরুশকুলে আশ্রয়ন প্রকল্পের ২০টি বহুতল ভবনে স্থায়ীভাবে ঠাঁই পেয়েছে প্রায় ৬শ পরিবার। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ১৩৯টি ভবনে পুনর্বাসিত হবে সাড়ে চার হাজার পরিবার। 

কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর সমুদ্র তীরের বাসিন্দা মোহাম্মদ হাশিম ও তার পরিবারের এখন আর ঝড় জলোচ্ছাসের শংকা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে জেলার খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্পে পরিবার পরিজন নিয়ে ঠাই পেয়ে চোখে মুখে তার আনন্দের হাসি।

হাশিমের মতো মহেশখালি, কুতুবদিয়াসহ উপকুলীয় অঞ্চলের সর্বস্ব হারানো ৬শ’ পরিবার বর্তমানে স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার  ঠাঁই পেয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের পাকা ঘরে।

এই আশ্রয়ন প্রকল্পে ৫ তলা বিশিষ্ট ১শ’ ৩৯টি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তার মধ্যে প্রথম ধাপে নির্মিত ২০টি ভবনে পুনর্বাসিত হয়েছে ৬শ’ পরিবার। তাদের যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজার হতে খুরুশকুল পর্যন্ত ৫শ ৯৫ মিটারের দীর্ঘ সেতু। 

এক নজরে কক্সবাজার খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্প

মোট ভবন           ১৩৯টি (৫ তলা)

প্রতিটি ভবনে ফ্লাটের সংখ্যা   ৩২টি 

পুনবার্সিত পরিবার        ৪ হাজার ৪শ ৯টি

প্রকল্প ব্যয়        ১ হাজার ৪শ ৬৭ কোটি টাকা

বাস্তবায়ন কাল       ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল  

এই প্রকল্পে পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর জীবিকার জন্য আধুনিক শুটকি মহাল, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য নির্মান হচ্ছে শেখ হাসিনা টাওয়ার। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় স্কুল, খেলার মাঠ, উপসনালয়, পুলিশ ফাঁড়ি, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

Zubayer/shimul