এলপিজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে, স্বীকার করলেন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৪-০৯-২০২৩ ২১:৩৭

আপডেট: ২৪-০৯-২০২৩ ২২:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: এলপি গ্যাস ন্যায্য দামে বিক্রি হচ্ছে না জানিয়ে জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দাম বেশি রাখলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা বন্ধে নীতিমালা করা হবে বলেও জানান তিনি। রোববার রাজধানীতে এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক এক কর্মশালায় জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাসা-বাড়ি ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় চুলার পাশে সিলিন্ডার রেখে রান্না করায় দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে। তাই এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।  

দেশে হোটেল-রেস্তোরাঁয়, বাসাবাড়িতে এবং বিভিন্ন যানবাহনে যে সব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে তা রাখা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। প্রতিনিয়ত কোন না কোন যায়গায় ঘটছে বিস্ফোরণ। এমন প্রেক্ষাপটে রোববার রাজধানীর ইপিবি অডিটরিয়ামে হোটেল-রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

এসময় বক্তারা বলেন, যারা এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন তারা জানেন না সিলিন্ডার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। একটি সিলিন্ডারের রেগুলেটর কি, কিভাবে প্রেশার চেক করতে হয় বা লিক হলে কিভাবে বুঝবে, এসব জানা নেই ব্যবহারকারীদের। 

বক্তারা জানান, বর্তমানে ৬০ লাখেরও বেশি গ্রাহক এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। বাজারে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩০টি কোম্পানি এই সিলিন্ডার সরবরাহ করছে। কিন্তুযথাযথভাবে পরিবহন, মজুদ ও ব্যবহার না করায় দুর্ঘটনা ঘটছে। 

কর্মশালায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে এলপি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৪৭ হাজার টন। এখন ১৪ লাখ টনের উপরে। এই গ্যাস ন্যায্য দামে বিক্রি হচ্ছে না স্বীকার করে তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে তা নিশ্চিত করবে সরকার।  

এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। 

 

FM/joy