আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ দিনে তিন বেলা খেতে পারে না। খাদ্য ও চিকিৎসার মতো প্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতেও বাধ্য হচ্ছেন তারা।
সেকোরস পপুলায়ার নামে দেশটির একটি সহায়তা সংস্থার পক্ষে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। যাতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের ৩২ শতাংশ মানুষের দিনে ৩ বেলা খাবারের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য নেই।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কারণে ফ্রান্সে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। দেশটির এক তৃতীয়াংশ মানুষ দিনে তিন বেলা খাবার খেতে পারছে না। যা দেশটির জনগোষ্ঠীর ৩২ শতাংশ। ফরাসি সহায়তা সংস্থা সেকোরস পপুলায়ার-পিপলস রিলিফ এর পক্ষে বহুজাতিক বাজার গবেষণা এবং পরামর্শক সংস্থা ইপসোস পরিচালিত এক সমীক্ষায় এসব তথ্য ওঠে এসেছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অভাবের কারণে খাদ্য ও চিকিৎসার মতো প্রয়োজনীয় ব্যয়ও কমাতে বাধ্য হচ্ছে ফ্রান্সের জনগণ। সমীক্ষার সময় দেশটির প্রায় ১ হাজার জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৩ শতাংশ বলেছেন, বর্তমানে প্রতিদিন ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার সামর্থ্য নেই তাদের। আর ৭২ শতাংশ বলেছেন, মাংস ও মাছ মাঝে মাঝে খান তারা।
সমীক্ষা অনুসারে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও উচ্চ দ্রব্যমূল্য ফ্রান্সে নতুন করে অনেককেই দারিদ্র্যসীমার নীচে নামিয়েছে। ৫৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা এখন আর আলাদা করে টাকা রাখতে বা জমাতে পারেন না। দেশটির ১৮ শতাংশ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনও অর্থই নেই। সম্পূর্ণ চিকিৎসার খরচ চালাতে অক্ষম, এমন মানুষের সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ছয় শতাংশ বেশি।
এদিকে, ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্র“নো লে মায়ার শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পর ৫ হাজার ধরণের খাদ্য পণ্যের দাম কমানোর প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন।
AAJ/Bodiar