শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

প্রকাশিত: ২৬-০৯-২০২৩ ০৮:০২

আপডেট: ২৬-০৯-২০২৩ ১৭:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জেষ্ঠ্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন। এসময় মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল অবসরে যাওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও বঙ্গভবনে ছিলেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানকে নিয়োগ দেয়া হয়। 

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিতে মঙ্গলবার সকাল ১১টার কিছু আগে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান। 

এরপর শপথনামায় স্বাক্ষর করেন নতুন প্রধান বিচারপতি। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ। সোমবার অবসরে যাওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা।

শপথ শেষে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রধান বিচারপতি। সেখানে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ও আইনজীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান। গত ১২ই সেপ্টেম্বর বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ছয়াশী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সংগঠক।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ পান। তিনি ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টের এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। 

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ওবায়দুল হাসান সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১১ সালে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১২ সালে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। পরে ২০২০ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

 

FM/Bodiar