'পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাব'

প্রকাশিত: ২৯-০৯-২০২৩ ১৪:৪৪

আপডেট: ২৯-০৯-২০২৩ ১৫:৫৯

সাজ্জাদুর রহমান :  গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই’র লেনদেন ফের পাঁচশো কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। চার কার্য দিবসের মধ্যে তিন কার্য দিবসই লেনদেন হয়েছে চারশো থেকে পাঁচশো কোটি টাকার মধ্যে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘমেয়াদি কোন পরিকল্পনা হাতে নেয়নি নীতি নির্ধারকরা। তাই এমন পরিস্থিতি। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার পাশাপাশি পুঁজিবাজার সংস্কারের পরামর্শও দিয়েছেন তারা। 

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচকে মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। শেষ কার্যদিবসে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ২৮ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৪২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। 

পুঁজিবাজারের দুরাবস্থার কারণে ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ অন্যদিকে বিনিয়োগ হচ্ছে। এতে ব্যাংকের উপরও চাপ বাড়ছে। যেটা কাম্য ছিল না বলে মনে করেন বিআইআইএসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির।

পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে নিয়মনীতির সংস্কার এবং বাজার নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

বুধবার ডিএসইতে ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে  ৭০টি প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ৭৮টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।

গত সপ্তাহের পুঁজিবাজারের চিত্র

কার্যদিবস                     লেনদেন (টাকা)            সূচক (পয়েন্ট)

রবিবার                     ৫০০ কোটি ৭৪ লাখ            ৬২৮০ লাল    

সোমবার                    ৪৪১ কোটি ২৭ লাখ            ৬২৮২ সবুজ

মঙ্গলবার                    ৪৫০ কোটি ১ লাখ             ৬২৮৩ সবুজ

বুধবার                      ৪২২ কোটি ৩০ লাখ           ৬২৮৪ সবুজ 

সূত্র: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ

 

Tanzila/shimul