মুক্তা মাহমুদ: বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও আমেরিকার নতুন রাজতৈকি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতির আওতায় পড়বে। গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে উচ্চকন্ঠ আমেরিকার এমন ভিসা নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন একসময় আমেরিকার গণমাধ্যমে কাজ করা বাংলাদেশের স্বনামখ্যাত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফরিদ হোসেন। তার মতে এটা গণমাধ্যমের মাথার ওপর তরবারি ঝুলিয়ে রাখা। মানবাধিকার কমিশনের সাবেক ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ও আইনের অধ্যাপক মিজানুর রহমানও মনে করেন এমন ভিসা নীতি করা আমেরকিার অন্যায় হয়েছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আমেরিকা বাংলাদেশের ওপর যে রাজনৈতিক ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি তৈরি করেছে, তার আওতায় গণমাধ্যমও পড়তে পারে। সম্প্রতি ঢাকায় আমেরিকার রাষ্ট্রদূত একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে একথা বলেন। ফলশ্র“তিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয় দেশের গণমাধ্যমে। এই প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র প্রশ্নের মুখোমুখি হন।
তিনি গণমাধ্যমের কাথা সুনির্দিষ্ট করে বলা থেকে বিরত থাকেন। ফলে ঢাকায় আমেরিকার রাষ্ট্রদুতের বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
বিভ্রান্তি দুর করতে বৈশাখী টেলিভিশন সত্য জানতে চায় ঢাকায় আমেরিকার রাষ্ট্রদুতের কাছে। লিখিত প্রশ্ন পাঠানো হয়। লিখিত জবাব দেন ঢাকায় আমেরিকার দুতাবাসের মুখপাত্র। এবার গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা সুনির্দিষ্ট করে বলেনি। তবে যা বলেছে, তার অর্থ দাাঁড়ায় বাংলাদেশের যে কোন ব্যক্তি আমেরকার এই রাজনৈতিক ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে। অথাৎ বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যেক নাগরিককে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়া হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই দেশের গণমাধ্যমের প্রতিটি সাংবাদিকও এর মধ্যে।
দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফরিদ হোসেন আমেরিাকর সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের সাথে দীর্ঘকাল সাংবাকিতা করেছেন। তিনি সাংবাদিকদেরসহ আমেরিকার এমন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন বৈশাখীর কাছে।
একইভাবে সমালোচনামুখর হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক সফিউল আলম ভূঁইয়া, যিনি গণমাধ্যম বিষয়ে পাঠ ও কাজ করেছেন।
মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও আইনের অধ্যাপক মিজানুর রহমান সমালোচনা করার পাশাপাশি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি নেয়ার পেছনে আমেরকার অন্য কারণ ও স্বার্থ আছে বলে মনে করেন।
তাদের মতে, গণমাধ্যমের সাংবাকিদেরকে ভিসানীতির আওতায় রাখার বিষয়টি আমেরিকার গণতন্ত্র ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার দীর্ঘ ইতিহাসকে কলুষিত করবে।
Mukta/sat