তানজিলা নিঝুম: প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের তেমন কার্যক্রম না থাকায় পুঁজিবাজার সংকটে পড়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। যা এই বাজারকে পুরোপুরি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী নির্ভর করে তুলেছে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জ-ডিএসইতে ফের লেনদেন তিনশো কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। পহেলা নভেম্বরের পর এটি সর্বনিু লেনদেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কেন বিনিয়োগে আগ্রহ পাচ্ছেন না, তা চিহ্নিত করে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
চলতি বছরের পহেলা নভেম্বরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসই’র লেনদেন ৩৭২ কোটি ২৭ লাখে নেমেছিল। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসই’তে লেনদেন ফের তিনশো কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে। আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন এদিন অর্ধেকে নেমে আসে। ২৮৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা কমে লেনদেন হয়েছে ৩৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের তেমন কোন কার্যক্রম না থাকায় এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাই শেয়ারবাজার এখন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী নির্ভর হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিলেন পলিসি এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ।
তিনি মনে করেন, অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জগুলোও পুঁজিবাজারের গতি কমিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি ও ডলার সংকটের মতো বিষয়গুলো।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬২টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬২টিপ্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
Tanzila/sat