একই ধরণের ওষুধ ভিন্ন দাম, বিপাকে ক্রেতা

প্রকাশিত: ১৮-১১-২০২৩ ১৬:১০

আপডেট: ১৮-১১-২০২৩ ১৭:৫৬

লাবণী গুহ: দেশে একটি রোগের একই ধরণের ওষুধ বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। কোম্পানিভেদে দাম আলাদা আলাদা হয়। আবার, একই কোম্পানির একটি রোগের একাধিক ওষুধ মেলে বাজারে। এতে বিভ্রান্তিতে পড়েন ক্রেতারা। ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলেন, একই ওষুধের দামের তারতম্য হওয়া উচিত নয়।  

দেশে ওষুধের চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। তবে, ভোক্তার দিক থেকে রয়েছে অসন্তুষ্টি। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে ওষুধ লেখার পর রোগি কিনতে গিয়ে একই ওষুধের ভিন্ন দাম দেখে বিপাকে পড়েন। 

একই জেনেরিকের নানান দামের ওষুধ মেলে বাজারে। গ্যাস্ট্রিকের জন্য সবসময় প্রয়োজন এমন একই মানের কোম্পানি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামের ওষুধ কেনেন ভোক্তারা। ইনসেপ্টা কোম্পানির ২০ মিলিগ্রামের প্যান্টোনিক্স প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ৭ টাকা। আবার একই মিলিগ্রামের এসকেএফ কোম্পানির লোসেকটিল প্রতিটি ট্যাবলেট বিক্রি হয় ৫ টাকায়। স্কয়ারের সেকলো প্রতিপিস ৬টাকা এবং একই কোম্পানির নেক্সাম ৭ টাকায় বিক্রি হয়। সবচেয়ে বেশি পার্থক্য হয় এন্টিবায়োটিক ওষুধে। স্কয়ারের ৫০০ মিলিগ্রামের জিম্যাক্স প্রতিপিস ট্যাবলেটের দাম ৪০ টাকা, এক্ি গ্র“পের অপসোনিনের এজিসিন ৪৫ টাকা, রেডিয়েন্টের একস ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং স্যানডোজের এজিথ ৫৫ টাকা ৫৫ পয়সা। এমনিভাবে আরো অনেক ওষুধের দামের তারতম্য হয়।

তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই ধরনের ওষুধের দামে এমন তারতম্য কাম্য নয়। এতে ওষুধের মতো পণ্যেও বৈষম্যের শিকার হন ভোক্তারা, মান নিয়েও তাদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়।

পুরো ব্যবস্থাপনায় একটা পরিবর্তন আনা দরকার বলে মত দেন তিনি।

LGR/habib