কক্সবাজার সংবাদদাতা: টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন দুই নারীসহ ৪৩ জন সাঁতারু। ১৫তম এই আসরে সবচেয়ে কম সময়ে পাড়ি দেয়ার গৌরব অর্জন করেছেন রাব্বি রহমান। আর চন্দ্র বৈশ্য গৌরব অর্জন করেছেন সবচেয়ে বেশি বয়সী সাতারু হিসেবে।
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের এই চ্যানেলটির নাম- বাংলা চ্যানেল। ২০০৬ সালে, সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চ্যানেলটির সন্ধান পান বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। এরপর থেকেই এখানে প্রতি বছর সাঁতারের আয়োজন করে আসছে ‘অ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলা’ নামে একটি সংগঠন। সোমবার শেষ হল ১৫তম আসর।
সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সোমবার সকালে শাহপরীর দ্বীপের জেটি ঘাটে জড়ো হন ৪৩জন সাঁতারু। সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয় যাত্রা। দুপুর সোয়া বারোটায় চ্যানেল পাড়ি দেন ১৩ বছর বয়সী রাব্বি রহমান। সবচেয়ে কম সময়ে চ্যানেল পাড়ি দেয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। বিকেল পাঁচটা নাগাদ গন্তব্যে পৌঁন ৪৩ জন সাতারুর সবাই। তবে সবশেষে দ্বীপে পৌঁছালেও ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য নামে ৮৩ বসয়ী এই ব্যক্তি গৌরব অর্জন করেন সবচেয়ে বয়সী সাতারু হিসেবে চ্যানেল পাড়ি দেয়ার। গন্তব্যে পৌছানোর পর সব সাতারুর চোখে মুখে ছিল ইতিহাস পাতায় নাম লেখানোর সুখের হাসি।
আয়োজকরা জানান, গত মার্চ মাসে এবারের সাতারের আয়োজন করার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পেছানো হয়। তবে,সাতারুদের সঠিক নিরাপত্তাসহ আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এবার আসর সফলভাবে শেষ করতে পেরে খুশি তারা।
এ্যাডভেঞ্চার ও এক্সট্রিম বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার জানান, এবারের আসরে অংশগ্রহাণকারীদের মধ্যে ১ জন বিদেশি, ২ জন নারী ও ২ জন পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন।
দিনাজপুর সংবাদদাতা: নৌ-পরিবহন...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন