শাহনাজ ইয়াসমিন: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে ভাতা দেয়া হচ্ছে ১২ হাজার টাকা, যা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার কাজ চলছে। এদিকে, যে ২০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে তালিকাভুক্ত হয়নি তাদের নাম পাঠানোর জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কী কারণে তাদের নাম তালিকায় নেই এবং কিভাবে তারা এতদিন ভাতা পেলেন সেটার ব্যাখ্যাও খোঁজা হচ্ছে।
একাত্তরে যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন তাদের নিয়ে ৭৩ সালে একটি খসড়া তালিকা করা হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী তখন মুক্তিযোদ্ধারা ৩০০ টাকা ভাতা পেতেন। তবে ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসার পর কয়েকবার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানো হয়। ২০০০ সাল পর্যন্ত এই ভাতা ছিলো তিন হাজার টাকা করে।
২০০১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়ে প্রথমে ৫ হাজার টাকা করা হয়। এরপর কয়েক দফা তা বাড়ায় সরকার। সবশেষ ২০১৬ সালে ভাতা বেড়ে এখন বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসাসহ তাঁরা পান ১২ হাজার টাকা। কিন্তু, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই ভাতাকে অপ্রতুল বলে মনে করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাই ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানালেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা জীবদ্দশায় ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর, মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর তাঁদের পরিবার পাবেন ১৫ হাজার টাকা ভাতা।
এদিকে, যে ২০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম এবার মন্ত্রণালয়ের ইনফরমেশন সিস্টেম-এমআইএস এ অন্তর্ভুক্ত হয়নি বা বাদ পড়েছে তাদের বিষয়ে ডিসিদের কাছে তথ্য চেয়েছে মন্ত্রণালয়। কেননা জেলা প্রশাসনের দেয়া তালিকার ভিত্তিতেই ভাতা দেয়া হতো। কিভাবে সেইসব নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলো আর কেনই বা বাদ পড়লো, তা খোঁজ করা হচ্ছে।
জানুয়ারী মাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করা হবে।
তাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন