ইমদাদুল্লাহ বাবু: এক সাথে বেশি সংখ্যক মানুষকে করোনা টিকার দুই ডোজ দিতে কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান ৮ সপ্তাহের পরিবর্তে ৪ সাপ্তাহে কমিয়ে আনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই ডোজের মধ্যে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানের রাখা যায়। এ কারণে টিকার কার্যকারিতায় কোন পরিবর্তন আসে না।
করোনার প্রতিষেধক টিকা ‘কোভিশিল্ড’ এর উদ্ভাবক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যায় ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের নির্দেশনায় প্রথম ডোজ প্রয়োগের কয়েক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে বলা হয়।
দেশের মানুষের শারীরিক গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং আবহাওয়াসহ নানা দিক বিবেচনা করে দুই ডোজের মধ্যকার ব্যবধান প্রথম দিকে ৮ সপ্তাহ নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু পরে সময়ের এই ব্যবধান কমিয়ে চার সপ্তাহ করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা টিকার ডোজ নির্ধারণ বিশ্বে একেবারেই নতুন ধারণা। তবে গবেষণায় দেখা গেছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে সময়ের ব্যবধান থাকলে টিকা বেশি কার্যকর হয়। কিন্তু টিকা কর্মসূচির সুবিধার্থে এই সময় ৪ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে করা হয়।
যুক্তরাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় টিকার ডোজে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান রাখা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে রাখা হয়েছে ৩ সপ্তাহের ব্যবধান। টিকার ধরণ, প্রাপ্যতা এবং কর্মসূচির ভিন্নতার কারণে এসব দেশে এভাবে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা বয়স্ক ব্যক্তি ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় প্রথম দফাতেই করোনা টিকার সম্পূর্ণ কোর্স দিতে চায় সরকার।
টিকার ডোজ ও সময়ের ব্যবধান নিয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক চূড়ান্ত বিশ্লেষণে আরো সময় লাগবে। তবে এ জন্য অপেক্ষা না করে সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন