নিজস্ব প্রতিবেদক: পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ঋণখেলাপিদের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেছেন, পিপলস লিজিংয়ের টাকা জনগণের টাকা, চোর-বাটপারদের নয়। আগে টাকা দিবেন তারপর আলোচনা, না দিলে কারাগারে যেতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫শে ফেব্রুয়ারি) বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ ঋণখেলাপিদের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে এসব কথা বলেন।
গত ২১শে জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও তার বেশি ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়া এমন ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেন হাইকোর্ট। ২৩ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এর আগে, তলবে ২৩ ফেব্রুয়ারি ৫১ জন হাজির হয়েছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ৩৮ জন ঋণখেলাপি হাজির হন। গত দু’দিনে যারা আসেননি তাদের আগামী ৯ মার্চ আবারও হাজির হতে বলেছেন আদালত।
এ বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, আদালতের তলবে যারা আজকে আসেননি, তাদের আরেকবার সুযোগ দেওয়া হবে। এরপরও তারা আদালতে হাজির না হলে প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করে কোর্টে হাজির করা হবে।
এসময় আদালত আরো বলেন, ‘আপনারা টাকা তুলে নিয়ে চলে গেছেন। আর যারা পিপলস লিজিংয়ে টাকা জমা রেখেছিল তারা না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আদালত একজন ঋণখেলাপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, টাকা না দিয়ে কোনো মন্ত্রী বা কারো প্রভাবে কাজ হবে না। আইনের মধ্যে থেকেই টাকা দিতে হবে। প্রথম কিস্তি দিয়ে তারপর বাকি আলোচনা করে নেবেন বোর্ড বা কমিটির সঙ্গে।
গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণসহ ২৮০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পিপলস লিজিংয়ের পাওনা ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার বেশি বলে জানান মেজবাহুর রহমান।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন