শাহনাজ ইয়াসমিন: তিস্তা নদী খনন ও তীর সংরক্ষণ কাজে চীনের কাছে ৮ হাজার ২১০ কোটি টাকা চেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ- ইআরডি এরইমধ্যে চীন সরকারের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে চার বছর মেয়াদী প্রকল্পের কাজ শুরু করবে সরকার।
উজানের পানিতে বর্ষায় বন্যা আর শুকনো মৌসুমে খরায় হাহাকার তিস্তা পাড়ে। সংকট দিনে দিনে বাড়লেও হচ্ছে না ভারতের সাথে বহুল কাঙ্খিত পানি বন্টন চুক্তি। বিকল্প হিসেবে তিস্তা নদীর জীবন রক্ষায় নদী খননের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এই প্রকল্পে অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে চীন। এই প্রস্তাব সরকার গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে প্রথম থেকেই কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত চীনের প্রস্তাব গ্রহণে সম্মত হয়।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গত বছরের আগষ্টে প্রকল্পটির প্রস্তাব পাঠায় পরিকল্পনা কমিশনে। সেখানে ঋণ প্রস্তাব তৈরি হতেই সময় গেছে। নির্ধারিত দিনক্ষণ পেরুলেও শেষ পর্যন্ত ঋণ প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। দূতাবাস হয়ে প্রস্তাব পৌঁছেছে চীনের কাছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আশা, স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। এরইমধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে চায়না পাওয়ার কোম্পানী। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বর্ষাকালে উদ্বৃত্ত পানি ধরে রেখে প্রয়োজন মত ব্যবহার করা যাবে। এজন্য খনন করা হবে তিস্তার বাংলাদেশ অংশের ১১০ কিলোমিটার। এছাড়া ১৭৩ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষাসহ নির্মাণ করা হবে স্যাটেলাইট শহর।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, এই প্রকল্পের পাশাপাশি ভারতের সাথে তিস্তা নদীন পানি বন্টন চুক্তির আলোচনাও চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন