নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্যের লেখা কপির করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমান বলেছেন, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক রাজনীতির ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। মিথ্যা ইমেইলের ভিত্তিতে একপেশে তদন্তে তাকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চার বছর ধরে তদন্ত শেষে সম্প্রতি শিক্ষক সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধে অন্যের লেখার অংশ বিশেষ হুবহু কপি করার অভিযোগে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে আত্মপক্ষ সমর্থনে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সামিয়া রহমান।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে শিকাগো ইউনির্ভাসিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যালেক্স মার্টিনের নামে পাঠানো মিথ্যা ইমেইলের ভিত্তিতে ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। যে চিঠির ভিত্তিতে তাকে পদাবনতির শাস্তি দেয়া হয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এমনকি শিকাগো ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে অ্যালেক্স মার্টিন নামে কোন কর্মকর্তাই নেই। এ চিঠিও পাঠায়নি তারা।
সহ-লেখক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানকে লেখার বিষয়ে ধারণা দিলেও লেখাটি তৈরি করা, জমা দেয়া, ছাপানো এর কোনটিই করেননি সামিয়া। তার স্বাক্ষর ছাড়া জমা দেয়া লেখাটি ২০১৭ সালেই প্রত্যাহারের জন্য সিন্ডিকেটে আবেদন করেন। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বলে রায় দেয়ার পরও শাস্তি দেয়া হয় তাকে।
সত্য উন্মোচনে পুরো ঘটনার পুনরায় তদন্ত ও সুবিচার পেতে বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলরের হস্তক্ষেপ চান সামিয়া রহমান।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন