শেরপুর সংবাদদাতা: আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনিয়মিত হয়ে পড়ায় অকার্যকর হয়ে পড়ছে শেরপুরের নাকুগাও স্থলবন্দর। কর্মহীন কয়েক হাজার শ্রমিক। এই স্থলবন্দর দিয়ে এখন শুধুমাত্র পাথর আমদানি হয়। আর এর মধ্য দিয়েই কোনরকমে সক্রিয় রয়েছে এই বন্দর। অথচ সব ধরণের অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে নাকুগাঁও স্থলবন্দরে।
শেরপুরের নাকুগাও স্থলবন্দর মূলত কয়লা ও পাথর আমদানি নির্ভর। এছাড়া আরো ১৭টি পণ্য আমদানির কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। উল্টো পরিবেশবাদীদের বাধার কারণে পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কয়লা আমদানি।
আর ভারত ও ভুটান থেকে পাথর আমদানিও প্রায় সময়ই ব্যাহত হচ্ছে। আর রপ্তানিও বন্ধ কয়েক বছর ধরে। ফলে নাকুগাও স্থলবন্দরের কার্যক্রম খুব একটা নেই।
এদিকে, পাশ্ববর্তী স্থলবন্দর গাবরাকুড়া, কড়ইতলা ও কামালপুর দিয়ে পাথর আমদানিতে খরচ কম পড়ার কারণেও নাকুগাঁও স্থলবন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির কর্মকর্তারা জানালেন, সকল অবকাঠামো থাকার পরও নিয়মিত পণ্য আমদানি-রপ্তানি না হওয়ায় কার্যকারিতা হারাচ্ছে নাকুগাঁও স্থলবন্দর। কর্মহীন হয়ে পড়ছে ব্যবসায়ী ও বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষও বলছেন, নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি আশানুরূপ নয়।২০২০-২১ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজার টাকা।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন